ওজন মাপার ব্যবস্থা না থাকলে দৈর্ঘ্য ও বুকের বেড় পরিমাপের মাধ্যমেও গরু–মহিষের ওজন নির্ণয় করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে তুলাদণ্ডের মতো নির্ভুল ওজন পাওয়া যাবে না। গরু-মহিষের ওজন সহজেই দৈর্ঘ্য ও বুকের বেড় পরিমাপের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ওজন প্রকৃত ওজনের চেয়ে ৫ শতাংশ কমবেশি হতে পারে।
লাইভ ওজন গণনার জন্য এ সূত্রই (শেফারের সূত্র) সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।
সমীকরণটি হলো W = {L (GXG)} / 660

যেখানে W শরীরের ওজন (কেজি), L হলো প্রাণীর দৈহিক দৈর্ঘ্য = প্রাণীর লেজের ওপরের পিন পয়েন্ট থেকে শোল্ডার পয়েন্ট অথবা পশ্চাদ্দেশের উঁচু হাড় থেকে গলার মাঝবরাবর পর্যন্ত। G হলো বুকের বেড় = সামনের ২ পায়ের ঠিক পেছনের দিক বরাবর বুকের বেড়।
ধরা যাক, একটি গরুর বুকের বেড় ৫০ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ৪০ ইঞ্চি। তাহলে গরুর ওজন হবে, {৪০ X (৫০ X ৫০)} / ৬৬০ = ৪০ X ২৫০০) / ৬৬০ = ১০০,০০০ / ৬৬০ = ১৫১ কেজি। লক্ষ্য রাখতে হবে, মাপের সময় গরুর মাথা যেন সমান্তরাল থাকে। অর্থাৎ খাওয়ার সময় যেমন মাথা নিচু করে থাকে, সে রকম যেন না থাকে। কারণ, গরু যখন মাথা নিচু করে থাকে, তখন এর বুক প্রসারিত হয়। বুকের বেড় মাপতে হবে ঠিক ঘাড় বরাবর। পিঠ বা ঘাড় থেকে তলপেটের মাপ নিলে ভুল ওজন আসবে। ফিতাটি যেন গরুর দেহের সঙ্গে লেগে থাকে। ফিতা বেশি টাইট হলে ওজন কম আসবে আবার বেশি ঢিলা হলে ওজন বেশি আসবে।